কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় দ্রুত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে পাঁচ সদস্যের আরেকটি মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বোর্ডের তিন সদস্যকে খালেদা জিয়ার পছন্দের হতে হবে বলে নির্দেশে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর এই শুনানি ১ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে পরপর দুই দিন শুনানি শেষে আদেশের জন্য এই দিন ঠিক করা হয়।
এর আগে চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় ৫ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডে গঠন করেন। বোর্ডে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল জলিল চৌধুরী (ইন্টারনাল মেডিসিন), অধ্যাপক হারিসুল হক (কার্ডিওলজি), অধ্যাপক আবু জাফর চৌধুরী (অর্থোপেডিক সার্জারি), সহযোগী অধ্যাপক তারেক রেজা আলী (চক্ষু) ও সহযোগী অধ্যাপক বদরুন্নেসা আহমেদ (ফিজিক্যাল মেডিসিন)। পরে ১৫ সেপ্টেম্বর পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডটি পুরান ঢাকায় নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
৯ সেপ্টেম্বর দেশের বিশেষায়িত কোনও হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। এ জন্য কারা কর্তৃপক্ষ যাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়, রিটে সেই নির্দেশনা চাওয়া হয়। এছাড়া ৭ এপ্রিল রাজধানীর শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছিল।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের দণ্ড দেন আদালত। সেই থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরান কারাগারে বন্দি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন