প্রণয়ী লরাঁ সানচেজের কাছে পাঠানো রগরগে ভাষায় লেখা সেক্স ম্যাসেজগুলো কিভাবে ফাঁস হলো তা অনুসন্ধান শুরু করেছেন অনলাইন বিক্রয় প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন বস জেফ বেজোস। তার নিরাপত্তা বিষয়ক টিম সন্দেহ করছে, এই ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কোনো মিত্র বা মিত্ররা। বিশ্বের শীর্ষ ধনী জেফ বেজোসের রয়েছে ১২৫০০ কোটি পাউন্ডের সম্পদ। ফলে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকানোর প্রয়োজন নেই। কতটা অর্থ মানুষের প্রয়োজন হয়! তাই হয়তো তিনি জীবনকে উপভোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ জন্যই স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি থাকা সত্ত্বেও তিনি সানচেজের প্রেমে মেতে উঠেছেন। ঘোষণা দিয়েছেন ম্যাকেঞ্জের সঙ্গে বিচ্ছেদে যাচ্ছেন। কিন্তু সানচেজকে পাঠানো টেক্স ম্যাসেজ তা যুক্তরাষ্ট্রের ওই গসিপ ম্যাগাজিন দ্য ন্যাশনাল এনকুইরারের হাতে গেল কিভাবে! তা বেশ ভাবিয়ে তুলেছে জেফ বেজোসকে।
এ জন্য তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দল তৎপর হয়ে উঠেছে এর নেপথ্যে কে বা কারা তা উন্মোচনের জন্য। ৫৪ বছর বয়সী জেফ বেজোস তার প্রণয়ী সানচেজকে যে রগরগে ‘প্রকাশের অযোগ্য ছবি’ পাঠিয়েছেন তাও প্রকাশ করে দিয়েছে ওই ম্যাগাজিনটি। শুধু তা-ই নয়, জেফ বেজোসের ৫ কোটি ১০ লাখ পাউন্ডের জেট বিমানে করে অবকাশ যাপনের ছবি, ভিডিওও প্রকাশ হয়ে গেছে। তার অর্থ কি? এর অর্থ হলো অনেক দিন ধরেই তার পিছু নিয়ে ছিল একটি চক্র। জেফ বেজোস বা সানচেজ কেউই হয়তো তা বুঝতে পারেন নি। তবে সানচেজ তার এক বন্ধুর সঙ্গে ওই ম্যাসেজ শেয়ার করেছিলেন বলে শোনা যায়। সেখান থেকেই ন্যাশনাল এনকুইরার পেয়েছে তথ্য। এমনটা বলা হলেও জেফ বেজোসের টিম খতিয়ে দেখছে। সানচেজের সঙ্গে বেজোসের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ হয় যখন তিনি ২৫ বছর তার স্ত্রী ম্যাকেঞ্জির সঙ্গে ঘর করার পর বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তার পর পরই। জেফ বেজোস দাবি করেছেন, তার স্ত্রীকে ঠকিয়ে তিনি সানচেজের সঙ্গে প্রেম করেন নি। তাদের রোমান্স জমে উঠেছে তখনই যখন তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আলাদা হয়ে যাবেন তার পরেই। ওদিকে জেফ বেজোসের ব্যক্তিগত ফোন পরীক্ষা করে দেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তার একাউন্ট হ্যাক হওয়ার কোনো প্রমাণ তারা পান নি। ওদিকে দ্য ডেইলি বিস্ট রিপোর্ট করছে যে, সানচেজ তথ্য ফাঁস করেছেন এমনও কোনো প্রমাণ নেই। তাই বেজোসের কিছু ঘনিষ্ঠ মহল মনে করছেন, এর পিছনে রাজনীতির হাত থাকতে পারে। কারণ, ব্যবসায়ী জেফ বেজোস ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশ ভঙ্গুর হয়ে উঠেছে। অ্যামাজন বস জেফ বেজোস ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক। আর এই পত্রিকাটি অব্যাহতভাবে লেগে আছে ট্রাম্পের পিছনে। তার নানা অঘটনের খবর প্রকাশ করে দিচ্ছে পত্রিকাটি।