সারাবিশ্বে করোনাভাইরাস সংকটের কারণে অজস্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কর্মসংস্থান হুমকির মুখে। চাকরি হারাচ্ছেন মানুষ। অনেকের কাছেই মৌলিক চাহিদা পূরণের অর্থ নেই। অথচ, এই সংকটেই বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ও অ্যামাজনের মালিক জেফ বেজসের সম্পদের পরিমাণ আরও ২৪ বিলিয়ন ডলার বা ২ লাখ কোটি টাকা বেড়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, মূলত করোনাভাইরাসের সময় অনলাইন কেনাকাটার ওয়েবসাইট অ্যামাজনের চাহিদা আরও বেড়ে গেছে। মানুষ অ্যামাজন ব্যবহার করে ঘর থেকেই পণ্য অর্ডার করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদ বোধ করছেন।
এ কারণেই অ্যামাজনের শেয়ারের দাম বেড়েছে হু হু করে। আর সর্বোচ্চ শেয়ারধারী জেফ বেজসের সম্পদের পরিমাণ ১৩৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ফলে তিনিই এখন বিশ্বের ১ নম্বর ধনী।
কভি-১৯ রোগের কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য ঘর থেকে ফরমায়েশ দিচ্ছে মানুষ। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি হাজার হাজার নতুন কর্মী নিয়োগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
তবে অ্যামাজনের সমালোচনাও চলছে। যুক্তরাষ্ট্রে অ্যামাজনের সাধারণ কর্মীদের সুরক্ষা পর্যাপ্ত নয় বলে অনেকে সমালোচনা করেছেন।
অ্যামাজনে বেজসের শেয়ার মোট ১১ শতাংশ। মঙ্গলবার নাগাদ অ্যামাজনের শেয়ারের দাম ৫.৩ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া খুচরা দোকানের চেইন ওয়ালমার্টের শেয়ারের দামও বেড়েছে। ওয়ালমার্টের মালিক ওয়ালটন পরিবারের সামগ্রিক সম্পদের পরিমাণ ৫ শতাংশ বেড়ে ১৬৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ফলে তারাই এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পরিবার।
বহু মানুষ এখন ঘরে বসে কাজ করায় অনলাইনে মিটিং করার ওয়েবসাইট ও সফটওয়্যার জুমের চাহিদা ও ব্যবহার বেড়েছে। ফলে জুমের প্রতিষ্ঠাতা এরিক ইউয়ানের সম্পদ প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৪ বিলিয়ন ডলারে।
তবে সব ধনী বিলিয়নিয়ারের সম্পদই যে বেড়েছে তা নয়। ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার সূচক মোতাবেক, বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনী এই বছর সম্মিলিতভাবে ৫৫৩ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন।
বিশেষ করে বৈশ্বিক তেল ও গ্যাস শিল্পের বিনিয়োগকারীদের সম্পদ ব্যপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। বিশ্বব্যাপী জ্বালানী তেলের চাহিদা ব্যাপকভাবে কমে যাওয়া এবং সৌদি আরব ও রাশিয়ার মধ্য তেল উৎপাদন নিয়ে বিরোধের প্রেক্ষিতেই অপরিশোধিত তেলের দাম বেশ কমে যায়। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও।