মহাকাশেই চাষ হবে শাক-সবজি, ফল-মূলের!

full_70925525_1399305444 মহাকাশে বসেই টাটকা লেটুস খেতে পারবেন নভোচারীরা। কারণ এখন থেকে মহাকাশ গবেচষণা কেন্দ্রের বাগানেই চাষ হবে শাক-সবজি, ফল-ফুলের। পৃথিবী থেকে লক্ষ লক্ষ কিলোমিটার দূরে কর্তব্যরত বিজ্ঞানীদের পেটপুজোর কথা চিন্তা করে সম্প্রতি এমন সুসংবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, খাওয়া দাওয়াসহ তাদের সব খোরাকি জোগাড় করা হয় নীল গ্রহ অথাৎ পৃথিবী থেকেই। সেই সব খাবার সবই প্যাকেট বা টিনজাত। টাটকা ফল-সব্জির স্বাদ গ্রহণের সুযোগ পান না মহাকাশ স্টেশনের এই সব বাসিন্দারা। এবার সেই সমস্যা সমাধানে এক ধাপ এগিয়ে গেল নাসা।

তারা বলছেন, আগামি দিনে মহাকাশে বসে নিজেদের প্রয়োজনীয় সবজি বা ফল ফলাতে পারবেন নভোচারীরা।আর এ জন্য পোর্টেবল গ্রিনহাউস পাঠাবে কর্তৃপক্ষ।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় কেনেডি স্পেস সেন্টারের বিশেষজ্ঞ ডক্টর জিওইয়া মাসার বলছেন, অনুকূল পরিবেশ ও আবহাওয়া পেলে মহাকাশে উদ্ভিদ চাষ করা সম্ভব। তিনি জানান, এইভাবে উদ্ভিদ চাষের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মধ্যাকর্ষণের অভাব। শূন্যে ভেসে বেড়ানো মাটিতে ফল-সবজি গজানো অসম্ভব।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু মহাকাশের উদ্ভিদ বালিশ ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে নাসা। তাই এই মধ্যাকর্ষণজণিত সমস্যা এড়ানো যাবে বলে মনে করেন তিনি।

নাসা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের টমেটো চাষিরা অনেক সময়েই সরাসরি জমিতে নয়, ছোট ছোট থলিতে গাছের বীজ বা চারা পুঁতে ফসল ফলান। মধ্যাকর্ষণ সমস্যা দূর করতে চাষের এই পদ্ধতি মহাকাশে প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রথম দফায় ৩টি উদ্ভিদ বালিশ মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে দু’টি থলিতে লেটুস পাতা এবং একটি থলিতে জিনিয়া ফুলের চারা বসানো হবে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *