হার দিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছিলো শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে সমতায় ফিরেছিলো তারা। এরপর তৃতীয় ম্যাচে আবার হার এবং চতুর্থ ম্যাচে আবার জয়। চার ম্যাচ শেষে সিরিজে সমতায় দুই দল। পঞ্চম ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে অঘোষিত ফাইনাল। জুনের তিন তারিখ পঞ্চম ম্যাচে মুখো মুখোমুখি হবে দুই দল।
শনিবারের ম্যাচটিতে আগে ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কা। কুমার সাঙ্গাকারার চোখ ধাঁধাঁনো সেঞ্চুরিতে ভর করে পুরো ৫০ ওভারে ৩০০ রান করে তারা। ১০৪ বলে ১১২ রানের অসধারণ এক সেঞ্চুরি করেন সাঙ্গা। এটি সাঙ্গাকারার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯তম সেঞ্চুরি।
দলের হয়ে ৭১ রানের একটি ইনিংস খেলেন তিলকারত্নে দিলশান। ওপেনিং জুটিতে মাত্র ২৬ রান এলেও দ্বিতীয় উইকট জুটিতে ১৭২ রান তুলে শ্রীলঙ্কা। এ জুটিই দলকে এনে দেয় ৩০০ রানের সুবিধাজনক সংগ্রহ। এ রান করে শ্রীলঙ্কা হারায় নয়টি উইকেট।
১০ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে চারটি উইকেট নেন হ্যারি গার্নে। দুটি করে উইকেট নেন জেমস অ্যান্ডারসন ও ক্রিস জর্ডান।
৩০১ রানের লক্ষ্য পেরুতে গিয়ে ১০ রানের মধ্যেই দুই উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। মালিঙ্গা একাই কাঁপিয়ে দেন ইংলিশ শিবিরকে। সাথে চলতে থাকে অজান্তা মেন্ডিসের ঘূর্ণি তাণ্ডব। ১১১ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকেই যায় ইংল্যান্ড। তারপর দাঁড়িয়ে যান জস বাটলার। উইকেট কিপার এই ব্যাটসম্যান দলকে জেতাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন।
৬০ বলে সেঞ্চুরি করে ফেলেন বাটলার। শেষ পর্যন্ত ৭৪ বলে ১২১ রান করে অষ্টম উইকেট হিসেবে মাঠ ছাড়েন তিনি। বাটলারের আউটের পর শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের আশা। আট রান বাকি থাকতেই হেরে যায় ইংলিশরা।
ম্যাচ শেষে বাটলারের জন্য আফসোস ঝড়েছে ইংলিশ অধিনায়ক কুকের কণ্ঠে। তিনি বলছেন, “পরাজিত দলে বাটলারের থাকাটা দুঃখজনক। সে দারুণ ব্যাটিং করেছে।” কুক বাটলারের কাছে এমন দারুণ ব্যাটিং চাইবেন তিন তারিখেও। সেদিন না জিতলে হারতে হবে সিরিজটাই।