মঙ্গলবার সকালে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর ‘খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হতে পারে। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়’-এমন বক্তব্যের পর এক ধরনের গুঞ্জন তৈরি হয়েছে গুলশানের কার্যালয়ে। এদিকে গুলশানের কার্যালয়ে গণমাধ্যমের কর্মীদেরও প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুলশান-২ এর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘অবরুদ্ধ’ অবস্থায় হওয়ার তৃতীয় দিন পার করছেন। এরই মধ্যে গত রাতে সাড়ে ৯টার দিকে কার্যালয়ের আশেপাশ থেকে বালু, ইট, পাথরের ১১ টি ট্রাক সরিয়ে নেওয়া হলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কর্তব্যরত নারী পুলিশের দল আরও সংকুচিত করে কার্যালয় ঘেষে দাঁড় করানো হয়েছে। এছাড়া কার্যালয় গেটে গতকাল লাগানো তালা এখনও রয়েছে।
৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিন ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবসের’ কর্মসূচি পালনে ব্যর্থ হয়ে সোমবার বিকাল থেকে সারা দেশে অবরোধের ডাক দেন খালেদা জিয়া। এরপর বিএনপি নেত্রী গাড়ি থেকে নেমে ফের কার্যালয়ে ঢোকার পর সেখানে পুলিশের সংখ্যা কমানো হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার সকালে আবার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পুলিশের দুই স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে।
পোশাকধারী পুলিশ, সাদা পোশাকের গোয়েন্দাদের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে ব্যাটালিয়ন পুলিশ। আছেন নারী পুলিশও।
কার্যালয়ের সামনে দুই দিকে পুলিশের লরি ও একটি জলকামানের গাড়ি রেখে সড়ক আটকে দেওয়া হয়েছে। আগের মতোই কার্যালয়ের কাছে প্রস্তুত রাখা হয়েছে একটি সাজোঁয়া যান।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে ওই কার্যালয়ে আটকা পড়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ কয়েকজন সাবেক নারী সংসদ সদস্য।
কার্যালয়ের দোতলায় খালেদা জিয়া নিজের চেম্বারে আছেন। বিএনপির প্রেস উইংয়ের সদস্য শামুসদ্দিন দিদার বলেন, ‘ম্যাডামের শরীর এখন ভাল। গত রাতে শ্বাসকষ্টে ভুগলেও সকাল থেকে একটু ভাল আছেন।’ তবে প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান বলেন, দুপুরে চেকআপ করাতে ফের চিকিৎসক আসবেন।