চুরির আতঙ্কে দিশেহারা রাজশাহীর পবা উপজেলাবাসী। শুধু চুরি করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না ওই চক্রটি, চুরির পর মারধর করে সর্বস্ব লুটে নিয়ে যাচ্ছে তারা।এ অবস্থায় চুরি ঠেকাতে গ্রামবাসীরা রাত জেগে নিজেরাই বিশেষ পাহারার ব্যবস্থা করেছে। অন্যদিকে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, তাদের তৎপরতার কারণে এখন আর চুরির ঘটনা ঘটছে না।
হাত-পা বেঁধে মারধর করে নগদ টাকা, সোনাসহ বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নেয়ার কথা জানায় দু’টি পরিবারের সদস্যরা। রাজশাহীর পবা উপজেলার মাঝিগ্রাম, থালতা, বসন্তকেদার, দুয়ারীসহ পার্শ্ববর্তী বেশকিছু গ্রামে গত এক মাসে প্রায় ১০ থেকে ১২টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। তাই সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হলেই এসব গ্রামে বিরাজ করে সুনসান নীরবতা। আর রাত যত গভীর হয় গ্রামের মানুষের মধ্যে বাড়তে থাকে চুরির আতঙ্ক। গ্রামবাসীর অভিযোগ, এ ব্যাপারে বারবার পুলিশের সহায়তা চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন তারা।
গ্রামবাসীরা বলেন, ‘পাশাপাশি দুই বাসাতে মারধর করে যা ছিল সব নিয়ে গেছে। এরকম সংঘবদ্ধ দল প্রায়ই এরকম হানা দিয়ে নির্যাতন করে সব লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশকে জানিয়েই কোন লাভ হয়নি। পুলিশ এখনো আসে নাই।’
এদিকে, নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গ্রামের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির ৮ থেকে ১০ জন সদস্য একসঙ্গে বাঁশি বাজিয়ে সারারাত পাহারা দেন গ্রাম।
গ্রামবাসীরা আরও বলেন, ‘প্রতি রাতে ১০-১২ জন আমরা থাকি এবং নিজেরাই নিজেদের এলাকাকে পাহারা দিয়ে রাখছি। লাঠি-লাইট নিয়ে গ্রুপ করে ভাগ হয়ে আমরা পাহারা দিয়ে যাচ্ছি।’
তবে পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, সন্ধ্যার পর ওই গ্রামে টহল জোরদার করায় বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
রাজশাহীর পবা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মতিয়ার রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত এলাকাবাসীকে সচেতন করেছি এবং আমাদের টহল টিমের নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছি। এখন ওই এলাকার অবস্থা স্বাভাবিক আছে।’
পবা থানা এলাকায় বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটলেও শেষ এক মাসে পুলিশের খাতায় এন্ট্রি হয়েছে মাত্র একটি ঘটনা।