বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়া গ্রামের নুর মোহাম্মদ কখনো ইট ভাঙ্গে আবার কখনো চায়ের দোকানে কাজ করেন । তার স্ত্রী খালেদা বেগম বাড়ী – বাড়ী আয়ার কাজ করেন। যা পায় তা দিয়ে দুই বেলা দু’মুটো কখনো হয় কখনো অনাহারে বা অর্ধহারে দিন যাপন করেন। তাদেরই সন্তান আরিফ ।অসহায় মা বাবার স্বপ্ন ছেলেকে স্কুলে পড়াবে। এত অভাবের মধ্যেও ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করান। আরিফ এখন সৈয়দপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র ।মা বাবার অভাবের সংসারে শখের বসে কবুতর পালন করে সে । আবার কখনো স্কুল ছুটির দিনে দিন মজুরের কাজ করে। মা বাবার অভাবের সংসারে কিছুটা হলেও সচ্ছলতা আনার চেষ্টা করে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস অভাবের মধ্যে অভাব। স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য ধার করা টাকা শোধ করতে নিজের শখের কবুতর গুলো বিক্রি করতে হাটে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিবেশী সৌদি প্রবাসী আবুল আজমের স্ত্রী মর্জিনা বেগম তার কবুতর গুলো কিনে নেয়। মর্জিনা সাতদিন পর তার কবুতর ফেরত দিয়ে আবার টাকা ফেরত চায়। কিন্ত আরিফ সেই টাকা দিতে ব্যর্থ হয় এবং সেই টাকা দেয়ার সক্ষঅমতা তার (আরিফের) নাই জানালে ক্ষিপ্ত হয় মর্জিনা, এতে মর্জিনা তাকে বাসায় নিয়ে নির্মমভাবে মারধর করে। আরিফের করুণ অবস্থা দেখে তিন কিশোর কলেজ ছাত্র রাফায়েদ (১৭) সামরুজ(১৬), মারুফ (১৬) তার প্রতিবাদ করলে তাদের উপর চড়াও হয় মর্জিনা বেগম। তাদেরকে “দেখে নিবে”বলে বিভিন্নভাবে হুমকি – ধামকি দিয়েছে । থানা পুলিশের সহায়তায় এখন তাদেরকে নানান ভাবে হয়রানি করাচ্ছে । পুলিশ বিনা মামলায় তাদেরকে ধাওয়া করছে হুমকি দিচ্ছে, প্রতিরাতে তাদের বাড়ী – বাড়ী গিয়ে লাঞ্ছিত করছে তাদের পরিবারের সদস্যদের।
তথ্যসূত্র: এফবি,১৭/৪/১৮(শাফাআত/জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়)