এক দোকান থেকে পণ্য ক্রয়ের পর অন্য কোনো দোকানে তা পুনরায় ওজন করলে দেখা যায় পরিমাণ কম থাকে। এ নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও বিক্রেতাদের কাছে অসহায় ক্রেতারা।
আবার অন্যদিকে বিশেষ কৌশলে ডিজিটাল স্কেলে চুরির মাধ্যমে মোটা অঙ্কের মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। সেখানেও তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করার থাকেনা ক্রেতাদের।
তবে এবার সেই চুরি ঠেকাতে নতুন পদ্ধতি নিয়ে আসছে ভোক্তা অধিদফতর। যেটির নাম ‘ওজন বন্ধু’। এ মেশিনে ওজন করলেই সঠিক মাপে পণ্য কিনতে পারবে ক্রেতারা।
এর আগে মুরগি ও মাছের দোকানগুলোতে ডিজিটাল স্কেলে ওজনে কম দেওয়া হচ্ছিল। আর সেই সুযোগের মূল কারণ হচ্ছে, এসব ভোগ্য পণ্য ওজনের পর বিক্রেতা নিজেই তা জবাই করে কেটে-কুটে পরিষ্কার-করে দেয়।
যার ফলে ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি অধিকাংশ ক্ষেত্রে যাচাই করার সুযোগ থাকেনা ক্রেতাদের। একই অবস্থা গরু, খাসি, ফল, তরিতরকারির দোকানের ক্ষেত্রেও দেখা যায়।
তবে এখন বিক্রেতাদের সেই প্রতারণা ঠেকানো এবং এক্ষেত্রে অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তির আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। প্রতিটি কাঁচাবাজারে ‘ওজন বন্ধু’ সেবা চালু করতে যাচ্ছে তারা।
ভোক্তারা বাজার থেকে পণ্য কিনে সেখানেই ওজন যাচাই করতে পারবেন। ডিসেম্বর মাস থেকে প্রাথমিকভাবে রাজধানীতে, এবং পরে পর্যায়ক্রমে অন্য এলাকার বাজারগুলোয় এ সেবা চালু করতে চায় অধিদফতর।
ভোক্তা অধিদফতরের উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, সঠিক ওজনে যাতে ভোক্তারা পণ্য কিনতে পারে সেই চিন্তা মাথায় রেখেই ভোক্তা অধিদফতর ‘ওজন বন্ধু’ নামে এ মেশিন বাজারে নিয়ে আসছে। ডিসেম্বর মাস থেকেই চালু হবে এই সেবা।
প্রাথমিক পর্যায়ে রাজধানীর বড় ১০ টি বাজারের সামনে থাকবে। পর্যায়ক্রমে পুরো দেশেই ছড়িয়ে পরবে ‘ওজন বন্ধু’। শুধু কাঁচা বাজার নয় এ মেশিন থাকবে কনজুমার মল গুলোর সামনেও।