২০২১ সাল নাগাদ তৈরি পোশাক খাতের ৫০ বিলিয়ন ডলার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডেনিম বা জিন্স পোশাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এমন আশাবাদের পাশাপাশি এ শিল্পের ব্যবসায়ীরা মনে করেন, এক্ষেত্রে অবকাঠামোগত সুবিধা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। বিজিএমইএ বলছে, কাঁচামাল সহজলভ্য হওয়ায় বাংলাদেশে এ খাতের সম্প্রসারণের ভালো সুযোগ আছে।
ৱযখন তখন যেভাবে খুশি ব্যবহার করা যায় বলে সারা বিশ্বে জিন্স বা ডেনিম পোশাকের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। ফ্যাশনেবল দীর্ঘদিন ব্যবহার উপযোগী বলে এ পোশাকের চাহিদা দিন দিনই বাড়ছে। বাংলাদেশের জিন্স পোশাক তৈরিতে প্রতিমাসে ডেনিম কাপড়ের চাহিদা সাড়ে ৪ কোটি মিটার।
যার ৩৫ -৪০ ভাগ সরবরাহ করছে দেশের ২০ থেকে ২৫ টি দেশীয় কারখানা, বাকিটা আমদানি করতে হয়। তৈরি পোশাক শিল্পের ঝুট কাপড় থেকে তৈরি মোটা সুতা ডেনিম খাতে ব্যবহার করা যায়, এ খাতে মূল্য সংযোজনের ভালো সুযোগ থাকায় বিনিয়োগ বাড়ছে।
মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ চেম্বারের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ডেনিমে অনেক বেশি ভ্যালু এড করা হয় ফলে ২ বা ১ ডলারের ট্রাউজার ডেনিমে হয়ে যায় ৬ ডলার।’
বিজিএমইএ সূত্রে জানা যায়,গত ৫ বছরে আমেরিকার বাজারে ডেনিম পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে একশ মিলিয়ন ডলার, আর গতবছর ইউরোপের বাজারে ১৪ কোটি পিস ডেনিম পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৮০০ মিলিয়ন ডলারেও বেশি। তবে রপ্তানি কয়েকগুণ বাড়তে পারে বলে মনে করে বিজিএমইএ।
জিএমইএ-এর সহ সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, ‘আমাদের যে ২০২১ যে মিশন আছে সেখানে আমরা আরো বেশি রপ্তানি বাড়াতে পারবো।’
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ডেনিমের সরাসরি অবদান ৬ শতাংশের মত। যেখানে ৭০ বিলিয়ন ডলারের বিশ্বে বাজারের সিংহভাগ চীনের দখলে।